-
শামসুর রাহমান থাকতেন ঢাকার শ্যামলীতে। তার বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত; এতে গুরুতর জখম হন তিনি।
-
একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের উল্টোদিকের ফুটপাথে ধর্মান্ধ মৌলবারা হুমায়ুন আজাদকে হত্যার চেষ্টা করে। তারা তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
-
ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে ঢাকার পল্লবীতে তার বাসার কাছে কুপিয়ে খুন করা হয়। ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড ও জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার আন্দোলনের ১০ দিনের মাথায় তিনি খুন হন।
-
তিনিও আক্রান্ত হন একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসএসি চত্বরে অভিজিৎ ও তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালায় ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা। অভিজিৎ ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার স্ত্রী চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন।
-
ঢাকার তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়িতে দিপীকা মসজিদের সামনে তাকে হত্যা করা হয়। ২৭ বছর বয়সী ওয়াশিকুর সেসময় মতিঝিলে তার কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছিলেন।
-
ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশ খুন হন সিলেটের সুবিদবাজারে। সেখানে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে হত্যা করে ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা
-
বাসভবনে ঢুকে নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়কে হত্যা করে ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা। তিনি নিলয় নীল নামেও পরিচিত ছিলেন। ঢাকার গোড়ানে একটি ভবনের পঞ্চম তলায় ছিল তার বাসা।
-
ফয়সাল আরেফিন দীপনকে ঢাকার শাহাবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে তার কার্যালয়ে হত্যা করে ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা। ধর্মান্ধদের হাতে খুন হওয়া লেখক অভিজিতের বই 'বিশ্বাসের ভাইরাস' প্রকাশ করেছিলেন দীপন।
-
ধর্মান্ধ মৌলবাদীলা এদিন আরো তিনজন ব্লগার-লেখককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এরা হলেন আহেমদুর রশীদ টুটুল, সুদীপ কুমার রায় বর্মন ও তারেক রহিম। ঢাকার লালমাটিয়ায় টুটুলের কার্যালয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। সুদীপ কুমার লেখালেখি করেন রণদীপম বসু নামে।
-
লেখক ও শিক্ষক মুহম্মদ জায়র ইকবালকে হত্যার চেষ্টা করা হয় তার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানে তাকে উপর্যুপরি ছুরি মেরে হত্যার চেষ্টা করে এক মাদ্রাসাছাত্র।